নিজস্ব প্রতিবেদক:
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আনা হয়েছে অমর একুশের গানের রচয়িতা, প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ।
শনিবার দুপুরে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শহিদ মিনারে আনার পরে দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এরপর জাতীয় পতাকা আবৃত মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত বিশিষ্ট নাগরিকরা। পরে সর্বস্তরের জনতা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তাকে।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহের দাফনসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় প্রেসক্লাব সার্বিক সহযোগিতা করছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানিয়েছেন, দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহিদ মিনারে রাখা হবে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ। বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে জানাজা দেওয়া হবে। ৪টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
এর আগে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শনিবার বেলা ১১টার কিছু সময় পর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লাশ এসে পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক।
সেখানো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রীরা।
কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বাঙালির অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা গাফফার চৌধুরী একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত গাফফার চৌধুরী স্বাধীনতার পর থেকে প্রবাসে ছিলেন।
বিএসডি/ এমআর