আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী মাসের শুরুর দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সার্বিয়া সফর করবেন। তাঁর এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে গ্যাস চুক্তিটি সই হতে পারে।
সার্বিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বলে দাবি করে থাকেন ভুসিক। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাঁকে রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার সম্পর্ক জোরদার করতে দেখা গেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ভুসিক। এই হামলার জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে পশ্চিমারা। কিন্তু এই দলে যোগ দেয়নি সার্বিয়া।
ভুসিকসহ সার্বিয়ার অন্য নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বেলগ্রেডের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে পশ্চিমারা। সার্বিয়ার কর্মকর্তারা বলেন, বলকান দেশগুলোকে অবশ্যই এই ধরনের চাপ প্রতিহত করতে হবে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের লক্ষ্য ব্যাহত হলেও তা করতে হবে।
ভুসিকের ১০ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার ঘনিষ্ঠতা ক্রমাগত বেড়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, সার্বিয়ার বেশির ভাগ জনগণ চায়, দেশটি যাতে মস্কোর সঙ্গে জোট করে।
সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকসান্দার ভুলিন বলেন, রুশবিরোধী প্রচারণায় বেলগ্রেডের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে কতটা যৌক্তিক, তা প্রেসিডেন্ট ভুসিক ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যকার সমঝোতার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
ভুলিন আরও বলেন, সার্বিয়ার মুক্তমনা নেতা, মুক্তমনা জনগণ এমন সিদ্ধান্ত নেয়, যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। তারা পশ্চিমাদের আদেশ গ্রহণ করে না।
সার্বিয়া প্রায় পুরোপুরি রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি সদস্যদেশগুলোর ওপর দিয়ে গ্যাস সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেয়, তাহলে সার্বিয়া কীভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস পাবে, তা পরিষ্কার নয়।
বিএসডি/ এমআর