আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইইউ নেতারা বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ৯০ শতাংশ কমানোর বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন। তবে হাঙ্গেরি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে পারবে। ভূবেষ্টিত দেশটি পাইপলাইনে সরবরাহ করা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব।
মিশেল আরও জানান, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এসবার ব্যাংককে সুইফট লেনদেন থেকে বাদ দেওয়া এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় তিনটি সম্প্রচারমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও একমত হয়েছেন ইইউ নেতারা।
এমন সময় নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এসেছে, যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি ‘খুবই মারাত্মক’।
লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত গোটা দনবাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রাশিয়া। অবশ্য ওই অঞ্চলের একটি বড় অংশ আগে থেকে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
সিভেরস্কি দোনেৎস নদীর তীরের দুটি শহর—সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক দখল করতে পারলে লুহানস্কের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে মস্কো। এতে প্রায় তিন মাস পর একধরনের বিজয় ঘোষণার সুযোগ পাবে ক্রেমলিন।
বিএসডি/ এমআর