আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মৃতদেহ বিনিময়ের এসব তথ্যের ব্যাপারে রাশিয়ার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় রুশ সেনাদের কাছে কয়েক সপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিলেন ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরা। মে মাসে তাঁদের বন্দী করা হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব ইউক্রেনীয় সেনা জীবিত আছেন, তাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। মারিউপোলে আটক থাকা এক হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনাসদস্যকে রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাশিয়ার আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর একটি সূত্র রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইতার-তাসকে বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ–সমর্থিত বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে যে সেনারা আটক ছিলেন, তাঁদের তদন্তের জন্য রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই সূত্র বলেছে, আরও বন্দীকে স্থানান্তর করা হতে পারে।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তাঁর ধারণা, আজভস্তালে সীমান্তরক্ষী, পুলিশ ও স্থানীয় বাহিনীর আড়াই হাজারের বেশি সেনাকে আটকে রেখেছে রাশিয়া।
এক মাস ধরে লড়াই চলার পর গত মে মাসে মারিউপোল দখলে নেয় রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের হিসাব অনুসারে, দুই পক্ষের লড়াইয়ে লাখো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মারিউপোলের পর সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক শহরের দখলে মনোযোগী হয় রাশিয়া। এ দুই শহরের দখল নিতে পারলে গোটা লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে মস্কো।
বিএসডি/ এমআর