আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা রি সন জিওন। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন শোয়ে।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সময় কিম জং–উনের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন শোয়ে। ইংরেজি ভাষায় তাঁর দক্ষতা রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং–উনের আলোচনার সময়ও উপস্থিত ছিলেন শোয়ে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যানয়তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শোয়ে। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র সুবর্ণ সুযোগ হারিয়েছে।’
সম্প্রতি পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনায় অনেকটাই ভাটা পড়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বারবার আহ্বানে সাড়া দেয়নি উত্তর কোরিয়া।
এ বছর উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া শক্তিশালী আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করে বলেন, উত্তর কোরিয়া সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান সতর্কতা জারি করে বলেন, এমনটা ঘটলে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন শোয়ে সন-হুই।
বিএসডি/ এমআর