বিনোদন ডেস্ক:
গ্রামীণ আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন জেনিফার লোপেজ। ২০০৮ সালে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মস ইউনূসের হাতে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ আমেরিকা একটি অলাভজনক ক্ষুদ্রঋণ সংগঠন, যারা নারীদের ছোটখাটো ব্যাবসায়িক উদ্যোগ দাঁড় করাতে সাহায্য করে থাকে।
২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি শহরের ৬০০,০০০ লাতিন উদ্যোক্তার ১৪ বিলিয়ন ডলার ব্যাবসায়িক মূলধন এবং ছয় মিলিয়ন ঘণ্টার আর্থিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিতে গ্রামীণ আমেরিকার যে মিশন, তা সম্পন্ন করতে ভূমিকা রাখবেন লোপেজ।
এ ছাড়া একজন ন্যাশনাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে হলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ফ্যাশন আইকন লোপেজ লাতিন নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দেবেন এবং তাদের কাজের প্রচারণা চালাবেন।
গ্রামীণ আমেরিকা ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের আওতায় আর্থিক স্বাধীনতা ও শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি নারীদের বোঝাবেন।
গ্রামীণ আমেরিকা আরো জানায়, বর্তমানে যেসব লাতিন ব্যবসায় উদ্যোক্তা রয়েছেন, তাদেরকে মূলধন সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝাবেন এবং আর্থিক স্থিতিস্থাপকতার লক্ষ্যে একটি সঞ্চয়ী প্রকল্প তৈরি করবেন।
জেনিফার লোপেজ বলেন, ‘এই দেশে লাতিন হয়ে থাকাটা সব সময়ই আমার জন্য গর্বের বিষয়। গ্রামীণ আমেরিকার সঙ্গে অংশীদারত্বের সুযোগ পেয়ে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। আমরা কর্মসংস্থান এবং নেতৃত্বের পথ তৈরি করছি। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক শক্তি রয়েছে এবং আমরা এটিকে কাজে লাগাচ্ছি। এই অংশীদারত্ব ব্যবসার ক্ষেত্রে লাতিন নারীদের জন্য সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং সুযোগ তৈরি করবে।
সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্য নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ, প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সহায়তা দিয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৫০,০০০ নারীকে ২.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে গ্রামীণ আমেরিকা। সেই সঙ্গে এক লাখ ৫৭ হাজার চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে সংগঠনটি।
সম্প্রতি এবিসি টেলিভিশনে প্রচারিত ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’য় হাজির হন জেনিফার। সেখানে জানান, কেন তিনি পরবর্তী আট বছরে ছয় লাখ লাতিন উদ্যোক্তার ছোট ব্যবসা গড়ে তুলতে গ্রামীণ আমেরিকা কর্তৃক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের পরিকল্পনাকে সাহায্য করছেন।
বিএসডি/ এমআর