কাজী আহসান উল্ল্যা, সিনিয়র করেসপনডেন্ট: দৈনিক শীর্ষ অপরাধ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হুমায়ুন আহমেদ মন্টু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১০ নভেম্বর ভোরে ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন হাসপাতালের সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ১৩ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৬.৪৫ মিনিটে মারা যায়। ডাক্তার মৃত্যু সনদে প্রাথমিকভাবে মিথনল নামক বিষক্রিয়ায় মারা যান বলে ধারণা করেছেন। একই দিনে পুলিশি সুরতহাল করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার ময়না তদন্ত করে। এব্যাপারে মৃত হুমায়ুন আহমেদ মন্টুর বড় ভাই মো: হোসেনের তথ্য অনুযায়ী হাজারীবাগ থানায় সামছু ও ওয়াহিদ নামের দুইজনকে আসামী করে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নম্বর-৩৮, তারিখ- ১৩/১১/২০২০ইং।
মামলার বিবরণে জানা যায় মৃত হুমায়ুন আহমেদ মন্টুর ঘনিষ্ট জন ও ক্যাবল ব্যবসায়ী পার্টনার সামছু ৯ নভেম্বর রাতে কামরাঙ্গিরচর থানাধীন মধু সিটি আবাসিক এলাকায় সামছুর বাসায় মন্টুকে দাওয়াত দিয়ে রাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে। খাবার শেষে মন্টু হঠাৎ অসুস্থ্য বোধ করলে সামছু, ওয়াহিদ সহ আরো ২/৩ জন মিলে ট্যানারির মোড় মন্টুর কথিত বোন রুমার বাসার সামনে মন্টুকে ফেলে চলে যায়। ১০ নভেম্বর ভোর রাতে রুমার বাসা থেকে ফোনে মন্টুর ভাগিনা সাকিবকে অসুস্থতার খবর জানালে পরিবারের লোকজন গিয়ে হুমায়ুন আহমেদ মন্টুকে রুমার বাসা থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। লাইফ সাপোর্টে দু’দিন থাকার পরে ১৩ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
হুমায়ুন আহমেদ মন্টুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তাকে পরিকল্পিত ভাবে কোনো খাবারের সাথে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন তার পরিবার।