নিজস্ব পতিবেদক:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী গোলাপ হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের লোকদেও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্বামী, সতীন ও তার সন্তানসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোলাপ হোসেনের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী হামিদা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী বেগম। পারিবারিক কলহের জেরে এক সপ্তাহ আগে প্রথম স্ত্রী হামিদাকে তালাক দেন গোপাল হোসেন। পরে স্থানীয় লোকজন সালিশ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন প্রথম স্ত্রীর সব পাওয়া পরিশোধ করতে হবে। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর একটি ঘর বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। ঘরটি পাঁচ হাজার টাকা দাম করে দ্বিতীয় স্ত্রী রেখে দিতে চাইলে তাতে দ্বিমত পোষণ করেন প্রথম স্ত্রী।
এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের দুই সতীনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তান বাড়ি থেকে চলে গিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত্রীযাপন করেন। মঙ্গলবার সকালে প্রথম স্ত্রীর সন্তান তার বাবাকে বাড়িতে ডাকতে গেলে দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালীর ক্ষতবিক্ষত লাশের পাশে গোলাপ হোসেনকে দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবলু বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারিকভাবে দাফন করা হবে।
মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় স্বামী সতীনসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বিএসডি/ফয়সাল