নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাস্টমস্ এজেন্টস্ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ এর নিবর্তনমূলক কিছু ধারা উপধারা ও বিভিন্ন বিধি-বিধান বাতিলের দাবিতে দুই দিনের কর্মবিরতি স্থগিত করেছে ফেডারেশন অব কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন। সোমবার (২৭/০৬/২২০) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষনা দেয় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি না মানলে আবারও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয়ারও হুশিয়ারি দেন তারা।
সংগঠনের মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খান বলেন, এসোসিয়েশনের সাথে কোন আলোচনা না করেই বিধিমালা ২০২০ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বৈধ উত্তরাধিকারীর অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তরের বিধি, লাইসেন্স বাতিল ও অর্থ দন্ড আরোপ, মূল লাইসেন্স বাতিল হলে রেফারেন্স লাইসেন্স বাতিল করা, সিএন্ডএফ এজেন্টদের প্রযোজ্য কর ব্যতিত অন্য কোন পক্ষের শুল্ক-কর এজেন্টদের উপর চাপিয়ে দিয়ে লাইসেন্স বাতিল বা অর্থদন্ড করার বিধানটি অযৌক্তিক ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি। অচিরেই এ আইন বাতিলের এবং সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আইন জারীর পর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পত্র মারফত অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও ফলপ্রসূ কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এমনকি আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা প্রস্তাব প্রদান করলেও কোন গুরুত্ব অনুধাবন করেননি। পরামর্শ করার প্রয়োজনও বোধ করেননি।
এর আগে গত ৭ জুন আমরা সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেছি। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অবিলম্বে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের স্বার্থবিরোধী এই আইন বাতিল ও সংশোধন করতে হবে। এছাড়া শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা ২০২০ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা এবং এইচ এস কোড ও সিপিসি ভুলের কারণে জরিমানা আরোপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ ও বিধিবিধান পর্যালোচনা করে তা সংশোধন করতে হবে কারণ এইচ এস কোড নির্ধারণ একটি টেকনিক্যাল বিষয়।
অযৌক্তিক কারনে সিএন্ড এফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ ও কাস্টমস এ্যাক্ট-১৯৬৯ এর ধারা ২০৯ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহন না করে এবং সিএন্ডএফ এজেন্টদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ বা শুনানী প্রদানের সুযোগ না দিয়েই এআইএন লক করা বা লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা বা দোষ প্রমাণিত না হলেও জরিমানা আরোপের মত নিবর্তনমূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কায়িক পরীক্ষা চলাকালে চালানে ঘোষনা বহিভূর্ত পণ্য পাওয়া গেলে মিথ্যা ঘোষণার অভিযোগ সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে উত্থাপন করা যাবে না। শুধুমাত্র আমদারিকারক ও শিপিং এজেন্টর বিরুদ্ধে অভিযোগ ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এসব দাবি আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের কোনো গুরুত্ব দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সভাপতি শাসছুর রহমান, সহ-সভাপতি শেখ মোখলেছুর রহমান, অর্থ সচিব কে এম আকতার হোসেন, বন্দর বিষয়ক সচিব মো. খায়রুল বাশার, সমন্বয়কারী দেলোয়ার হোসেন দিলু, আইন সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য কবির আহাম্মেদ, ঢাকা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম খান প্রমুখ।
বিএসডি/ এমআর