নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কারিগর শিক্ষা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পুঁথিগত শিক্ষার সাথে প্রায়োগিক শিক্ষা বা লাইফ স্কিল থাকা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক। এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার ( ৩০ জুন) শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন৷
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আলী আকবর খান বলেন, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পর একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বেকারত্ব যে কোনো দেশের জন্য অভিশাপ। কর্মমুখী শিক্ষা বেকারত্বের নিদারুণ অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে এ শিক্ষা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মমূখী শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি। দেশ বিনির্মানে ৪৪ বছর ধরে অমসৃণ পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের আজকের এই পথচলা৷
তিনি বলেন, যারা কর্মমূখী শিক্ষা গ্রহন করে তাদের কেউই বেকার থাকেনা। আমাদের দেশে বর্তমানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা প্রচলিত। তার সঙ্গে কারিগরি, প্রকৌশলী, ডাক্তারি, ভোকেশনাল ইত্যাদি কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে। দেশের প্রচলিত পন্থায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়েও লাখ লাখ যুবক বেকারত্বের অভিশাপে দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত। অথচ উন্নত দেশগুলোর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও পেশাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি এশিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে কর্মমুখী শিক্ষা যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
এসময় ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/ এমআর