পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সংবাদ প্রকাশের জেরে জুলফিকার আমীন সোহেল নামে এক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও খুন জখমের হুমকি দিয়েছে মাসুম বিল্লাহ নামে এক ভূমিদস্য।
এই ঘটনায় ওই সাংবাদিক রোববার (৩ জুলাই) মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
জুলফিকার আমীন সোহেল আমাদের নতুন সময় পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ও উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু মোঃ রুহুল আমীন এর ছেলে।
জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিরুখালি গ্রামের মৃত্যু হাসেম হাওলাদার এর ছেলে মাসুম বিল্লাহ তার ভাতিজা মাশরেকুল আলম রবি ওরফে মিলনের ডিসিআরকৃত জমি কৌশল করে দখল করে নেয়া ও বর্তমানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারা চালায়। এ ঘটনায় মিলনের পক্ষে তার চাচা মহিউদ্দিন এবং চাচাতো ভাই পৃথকভাবে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে গেলে সুচতুর মাসুম বিল্লাহ কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে যাবার পরে ভূমিদস্যু মাসুম বিল্লাহ লোকজন দিয়ে পুনরায় ওই ডিসিআরকৃত জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য কাজ করে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ২৮ জুন জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
মাশরেকুল আলম রবি ওরফে মিলন জানান মাসুম বিল্লাহ একজন ভূমিদস্যু ও মামলা বাজ। মিলন ও তার স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সাংবাদিক জুলফিকার আমিন সোহেলের সামাজিক মাধ্যম MB tv তে “মঠবাড়িয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে ডিসিআরকৃত জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি ভিডিও সংবাদ প্রকাশ করেন। এ সংবাদে মাসুম বিল্লাহ বক্তব্য না দিলেও তার স্ত্রী মতামত প্রকাশ করেছেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চিহ্নিত ভূমিদস্যু মাসুম বিল্লাহ ২ জুলাই শনিবার রাত ১০:৪৯ টায় তার মোবাইল দিয়ে ফোন করে সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেলকে মামলায় জড়ানো, হাত পা ভেঙ্গে দেয়াসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়।
এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে নিন্দার ঝড় উঠেছে ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মাসুম বিল্লাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহাঃ নুরুল ইসলাম বাদল জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএসডি/ এমআর