নিজস্ব প্রতিবেদক:
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না হলেও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা যেন সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পান, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যে নতুন ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৬ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি এবং মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ২০২২ সালে দেশের বেসরকারি ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় নতুন ২ হাজার ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১০৯টি এবং ডিগ্রি কলেজ ১৮টি।
তিনি বলেন, একইভাবে কারিগরি এবং মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন অ্যাগ্রিকালচার দুটি, দাখিল মাদরাসা ২৬৪টি, আলিম মাদরাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদরাসা ৬টি এবং কামিল মাদরাসা ১১টি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মানসম্মত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিই। সব প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না করলেও মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা যেন সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পায় সে ব্যবস্থাটা নিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকায় নতুন ২ হাজার ৭১৬ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলো।
সরকারপ্রধান বলেন, এরইমধ্যে আমরা ২৬ হাজার ৪৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছি। ২০১৯ সালে আমাদের সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ১ হাজার ৬৫১টি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৯৮৮টি মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে।
২০১৯ সালের আগে ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসিক বেতনের মূল অংশ ছাড়াও কিছু ভাতা সরকারের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন।
আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রান্তে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
চুয়েট প্রান্তে ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চুয়েট ভিসি, চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিএসডি/ফয়সাল