আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কায় সাধারণত জনগণের ভোটেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। তবে এবার সংকটকালে দ্রুততার সঙ্গে নেতা নির্বাচনের প্রয়োজন হওয়ায় বড় পরিসরে ভোটের আয়োজন বাদ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন পরবর্তী সরকার প্রধান।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। তাতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকেই এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকেরা। যদিও বিক্ষোভকারীরা তাকে রাজাপাকসে পরিবারের মিত্র হিসেবেই দেখছে।
টানা কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি দেশছেড়ে পালিয়েছেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রথমে মালদ্বীপ, এরপর সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে তার দুই ভাই মাহিন্দা এবং বাসিল যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন।
লঙ্কান পার্লামেন্টের এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজাপাকসেদের দল এসএলপিপি। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা রনিল বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে শ্রীলঙ্কা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন রনিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, রনিল বিক্রমাসিংহে নির্বাচনে জিতলে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী মতাদর্শীদের দমনে চড়াও হতে পারেন।