আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান (পিটিআই) ইমরান খান সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। খুব শিগগির এমন পরিস্থিতি আসবে, যখন জনসাধারণ আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের নেতৃত্বাধীন মাফিয়ার বিরুদ্ধে ‘হাকিকি আজাদি’র জন্য রাস্তায় নেমে আসবে। শনিবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ মন্তব্য করেন ইমরান। খবর এনডিটিভির।
ইমরান বলেন, আসিফ আলি জারদারি ও শরিফ পরিবারের নেতৃত্বাধীন মাফিয়ারা নিজেদের অবৈধ সম্পদ বাঁচাতে মাত্র তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে নতজানু করে ফেলেছে। আমার প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কত দিন এটি হতে দেবে?
তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে আমার ‘হাকিকি আজাদি’র আহ্বানে সাড়া দেবে পাকিস্তানের জনগণ। এই মাফিয়াদের লুটপাট চালিয়ে যেতে দেবে না তারা। আমরা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি থেকে বেশি দূরে নয়, যখন আমাদের জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে। তাঁরা এই মাফিয়াদের লুটপাট চালিয়ে যেতে দেবেন না। ২০১৮ সালে ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। মেয়াদপূর্তির আগেই তাঁর সরকারের পতন হয়।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন ইমরান। তবে এই দাবি নাকচ করেছে শাহবাজের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোট সরকারের শরিকরা।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ জরুরিভাবে বিদেশে বিক্রির মাধ্যমে দেশকে ঋণখেলাপির হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। দেশটির ফেডারেল মন্ত্রিসভা এ প্রক্রিয়ার একটি অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে এবং এ ছাড়া ছয়টি প্রাসঙ্গিক আইন বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তঃসরকারি বাণিজ্যিক লেনদেন অধ্যাদেশ ২০২২-এর মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে প্রাদেশিক সরকারগুলোকে জমি অধিগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি করার ক্ষমতাও দিয়েছে। তবে এই অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এদিকে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির বিরোধিতা করেছেন ইমরান। তিনি বলেন, চোরদের সম্পদ বিক্রি করতে দেওয়া উচিত নয়। বৃহস্পতিবার ফেডারেল মন্ত্রিসভা এই অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে। যাতে করে তেল ও গ্যাস কোম্পানি এবং সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের অংশীদারিত্ব সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করা সম্ভব হয়। এতে দেশটির রিজার্ভ ২ থেকে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে।