নিজস্ব প্রতিবেদক,
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা এবং মাদকের মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া বোট ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ বলেছেন, অভিনেত্রীর সাঁজানো নাটকে আমার মতো একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির সারা জীবনের অর্জিত সম্মান ধুলিষ্যাৎ হয়েছে।
এমন ঘটনা যেন আর কারো জীবনে না ঘটে। ববর্তমান সময় প্রতিবেদকে কাছে তুলে ধরেছেন গত ৯ জুনের ঘটনার বিস্তারিত। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের প্রতি নিজের আস্থা রেখে ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। নাসির ইউ মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যকরি পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে ক্লাবের ডিসিপ্লিন, মেনটেইনেন্স, কালচারাল এফেয়ার্স ও এন্টারটেইনমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত।
সেদিন রাতে (৯ জুন) আনুমানিক ১২টায় বোট ক্লাবেরই একজন সদস্যের সাথে ৩ জন অতিথি ক্লাবের বারে প্রবেশ করেন। আমি তখন একটি টেবিলে অন্য সদস্যদের সাথে বসে ছিলাম। আমি দেখছিলাম, তারা মদ্যপ অবস্থায়ই ক্লাবে প্রবেশ করেছেন।
নাসির বলেন, তারা আমাদের পাশের টেবিলে বসেন এবং ওয়েটারদের ড্রিন্কসের বোতল দিতে বলেন। ওয়েটাররা এক বোতল ড্রিন্কস টেবিলে সার্ভ করার পর খুব দ্রুত ওই বোতল শেষ করে ফেলে আরও এক বোতল দিতে বলেন। মুহুর্তেই পরের বোতলেরও অর্ধেকের বেশি শেষ করে ফেলেন তারা। এ সময় পরীমনি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তিন লিটারের একটি দামি ‘ব্লুলেবেল’ এর বোতল বারের সেলফ থেকে হাতে নিয়ে নিজের সঙ্গে নিতে চান। এ সময় ওয়েটাররা ওই দামি বোতলটি নিতে বাধা দিলে পরীমনি ক্ষিপ্ত হন এবং ওয়েটারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে টেবিলে রক্ষিত প্লেট গ্লাস অনবরত ভাঙতে থাকেন।
তিনি বলেন, ক্লাবের ডিসিপ্লিনারি ইনচার্জ হিসেবে ওয়েটাররা আমার সাহায্য চায়। তখন আমি পরিমনিদের টেবিলের সামনে দাড়িয়ে বলি এই ড্রিন্কসের বোতল বিক্রি যোগ্য নয়। ওই সময় পরিমনি আমাকে তুই-তাকারি করে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করেন এবং টেবিলে রক্ষিত প্লেট, গ্লাস ছুড়ে মারতে থাকেন। আমাকে লক্ষ্য করে ছোড়া একটি গ্লাস আমার ঘাড়ে এসে লাগে। এ সময় তাদের সঙ্গে আসা জিমিও আমার ওপর চড়াও হয়।
এ অবস্থায় ঘটনা সামাল দিতে আমি ক্লাবের সিকিউরিটি স্টাফদের ডেকে তাদের বের করে দিতে বলে আমি ক্লাব থেকে চলে যাই।
নাসির আরও বলেন, ঘটনার চার দিন পর যখন পরিমনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এবং কিছুক্ষণ পর সংবাদ সম্মেলন করে যখন আমাকি নিয়ে মিথ্যাচার করেন, তখন আমি হতভম্ব ও বিস্মিত হই। এরই মধ্যে বিভিন্ন টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে ঘটনার চিত্র নিশ্চয়ই দেখেছেন এবং সত্যিকারের ঘটনাটি অনুধাবন করতে পেরেছেন। দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের প্রতি আমার পুর্ন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমার বিশ্বাস আমি ন্যায় বিচার পাবো।
বিএসডি/শফিকুল ইসলাম/মুছা