নিজস্ব প্রতিবেদক:
মালয়েশিয়া চেম্বারের উদ্যোগে “ANATOMY OF A MACROECONOMIC CRISIS” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার, (৩১ জুলাই ) বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে রাজধানীর ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত হলো “অ্যানাটমি অব এ ম্যাক্রো ইকোনমিক ক্রাইসিস” শীর্ষক বিএমসিসিআই পাওয়ারলাঞ্চ।
উক্ত ব্যবসায়িক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার জনাব হাজনাহ মোঃ হাশিম উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর। সেমিনারে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক আর্থিক সংকটে বাংলাদেশের জন্য করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে মালয়েশিয়া চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আজকের সভার মূল উদ্দেশ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান বলেন বর্তমান সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ অন্যান্য অনেক দেশের থেকে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোঃ হাশিম বলেন, একটি ভ্রাতৃপ্রতিম জাতি এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বন্ধন অত্যন্ত সুদৃঢ়। তিনি বাংলাদেশের প্রতি মালয়েশিয়া সমর্থন অব্যাহত আছে বলে জানান। তিনি বিএমসিসিআইয়ের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব জসীম উদ্দিন বিনিময় হার স্থিতিশীল করার জন্য ব্যাংকের উচ্চ সুদ আরোপ করা সঠিক নয় বলে মনে করেন। এর ফলে এসএমই খাত এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং সংকটে পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান এমপি এমন সময়োপযোগী সভা আয়োজনের জন্য মালয়েশিয়া চেম্বারের সভাপতি জনাব আলমাস কবীরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে মুদ্রার অবমূল্যায়নের প্রবণতা স্থিতিশীল করতে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং আমদানি কমানোর ওপর জোর দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহামারী সময়ে অর্থনৈতিক সংকট রক্ষার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছেন এবং ডলারের দাম যখন আকাশচুম্বী হতে শুরু করেছিল তখনই তিনি তা গ্রহন করেছিলেন। বর্তমান সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ অন্যান্য অনেক দেশের থেকে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমাদের বিদ্যমান সমস্যাগুলি খুব শীঘ্রই সমাধান করা হবে বলে তিনি আশাবাদী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড আহসান এইচ মানসুর ও পিডব্লিউসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ক্লাইন্টস ও মার্কেট লীড জনাব মামুন রশীদ। সেমিনারে শতাধিক দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ, আর্থিক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং আলোচনায় অংশ নেন।
বিএসডি/ফয়সাল