জাককানইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে এই ধরনের বিষণ্ণতার মধ্যে দিয়ে কখনো না কখনো দিন যাপন করেন। তাদের অনেকেই জীবনের কোন না কোন সময়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছেন বা আত্মহত্যা করার চিন্তা করেছেন।
আত্মহত্যা প্রবণতার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা ও প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং। প্রেরক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মহত্যার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও কাউন্সিলিং করে থাকে।
অনুষ্ঠান টি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন , আমাদের সমাজের একটা ধারা আছে – কম প্রশংসা করা এবং বেশি দোষ খোঁজার চেষ্টা করা। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই চল রয়েছে।
“এই যে একজন মানুষকে তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য গ্রহণ করতে না পারা, সবসময় তুলনা করা, কোনকিছু নিজের ধারণা বা মন মতো না হলে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা – অর্থাৎ একটা মানুষ হিসেবে একজনকে আমি কীভাবে বিচার করছি, তার সাথে কীভাবে যোগাযোগ করছি – এই জায়গাটা থেকে একটা মানুষের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি হয়।
তিনি আরো বলেন ,আত্মহত্যার অন্যতম কারণ বিষন্নতা , আর বিষন্নতার অন্যতম প্রধান কারণ সেলফ স্ক্রিনিং। আর
সেলফ স্ক্রিনিং যারা করে, তারা সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকে, কারণ তারা সবসময় মনে করতে থাকে যে ‘আমি যা, তা যথেষ্ট নয়।জরিপেও উঠে আসে যে, যারা দিনে তিন থেকে সাত ঘণ্টা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাদের ৮৮ ভাগই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। আর নিজেকে গণ্ডি থেকে বের করতে না পারলে বিষন্নতার চরম লেভেলে থাকলে ,তখন খারাপ সময়ের কথা চিন্তা করে কান্না করবেন। কান্নার সাথে স্ট্রেস হরমোন ও টক্সিন হরমোন শরীর থেকে বের হয়ে যায় ,পরবর্তীতে ইন্ডরফিন হরমোন তৈরি হয় যা মন ও শরীর কে সতেজ করে। এতে বিষন্নতা কমে যাবে।
বিএসডি/ফয়সাল