আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, প্রবল লোডশেডিং, সাউথ আফ্রিকায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হাজারো মানুষের। দেশের প্রধান ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে জিনিসের দাম বাড়া এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সাউথ আফ্রিকার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামলেন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানি সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে।
প্রিটোরিয়ায় বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, সরকারকে অবিলম্বে জিনিসের দাম কমাতে হবে। না হলে, তাদের পক্ষে বাঁচা দায় হয়ে পড়ছে। সাউথ আফ্রিকান ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়নসের সাধারণ সম্পাদক জোয়েলিনজিমা ভাভি বলেছেন,আমরা আর নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমরা জানি, আজ, কাল ও পরশু অন্তত এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ দিনে একবার অন্তত খেতে পাবে না। জিনিসের দাম যা বেড়েছে, তাতে তাদের পক্ষে খাবার জোগাড় করা সম্ভব হবে না।
অর্থনীতি চাপে করোনার পর থেকে সাউথ আফ্রিকার অর্থনীতি প্রবল চাপে। অন্তত ২০ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। মুদ্রস্ফীতির হার এখন সাত দশমিক আট শতাংশ। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তাই ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের বিলও সাড়ে সাত শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য ও পানীয়ের দাম বেড়েছে প্রায় দশ শতাংশ।
স্কুলশিক্ষক তুমানে বলেছেন, আমি ঋণ শোধ করতে পারছি না। কারণ, সুদের হার বেড়ে গেছে। পেট্রোলের দাম বেড়েছে। খাবার জিনিসের দাম বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম আরো দামি হয়েছে। স্কুলশিক্ষক হিসাবে আমি আর আগের মতো জীবনযাপন করতে পারছি না। সরকারের প্রতিক্রিয়া দেশের বেহাল অর্থনীতির জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলি ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসকেই দায়ী করছে।
কংগ্রেস অফ সাউথ আফ্রিকান ট্রেড ইউনিয়নসের সাধারণ সম্পাদক মাইক শিনগ্যাঙ্গে বলেছেন, এটা সামাজিক সংগ্রাম। এই সংগ্রাম না করলে ভবিষ্যৎ আরো অন্ধকার হবে। আমাদের এখন লড়াই করতে হবে। মন্ত্রী গাঙ্গুবেলে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা যে বিষয়গুলি তুলেছে, সেগুলি সবই সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারকে আগে অসাম্যের মোকাবিলা করতে হবে। নাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।