জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ১৩ তলায় রান্না ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। হলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহায়তায় অদক্ষ হাতে দ্রুত সময়ে আগুন নেভানো হলেও, এই ঘটনায় ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর ) রাত ১০:১৫ নাগাদ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ১৩ তলায় রান্না করার সময় চুলার সুইচ ব্লাস্ট করে ছিটকে পড়ে। সাথে সাথে আগুন ধরে উঠে পুরো রান্নাঘর জুড়ে।
এই সময় দ্রুততার সাথে হলের কিছু কর্মচারী ও সাধারণ ছাত্রীদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।
আগুন নেভানোয় প্রশিক্ষিত না হওয়ায় , যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে দাবি করছেন ছাত্রীরা।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নিন্ম মানের চুলা ব্যবহার করায় , যেকোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে । এদিকে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ছাত্রীরা হল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, হলে আজকে যদি বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে এর দায়ভার কে গ্রহণ করতো ? প্রশাসন কি জানে না নিন্মমানের চুলা ব্যবহার করা হয়েছে ? তাহলে কেন এগুলোকে অপসারণ করে নতুন ভালো চুলা লাগানো হলো না? এর জবাব কে দিবে ?
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, আগুন নিভে গেছে শুনলাম , আমি রওনা দিয়েছি , ছাত্রীদের সাথে দেখা করবো, তাদেরকে আশ্বস্ত করবো এবং গিয়ে সকল গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিব যেন কোনো রকম ঝুঁকি তৈরি আর না হয়। আমি তাদের চুলা জনিত সমস্যা জানতাম , এমনকি আমি এই সমস্যা সিন্ডিকেটে প্রস্তাবের জন্যে সকল ব্যবস্থা করেও ফেলেছিলাম ,হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে নতুন চুলা লাগানোর অনুমতি পেয়েও যেতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হঠাৎ এই দুর্ঘটনা ঘটলো, আমি যত দ্রুত সময়ে সম্ভব চুলা গুলো পরিবর্তন করে , সমস্যাগুলো সমাধান করবো।
বিএসডি/এফএ