নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হয়ে গেল, এখনো আমরা স্বাধীনতার জন্য, আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। কী দুর্ভাগ্য আমাদের। স্বাধীনতার এত বছর পর এসেও, স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। অধিকারের স্বাধীনতা নেই। তাহলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হলো কী করে? যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা তো শটগান দিয়ে মানুষ মেরে ফেলছেন। তাদের কাছে আমরা কীসের গণতন্ত্রের আশা করব?’
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র হরণকারীরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন লজ্জা ধিক্কার ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না। দেশজুড়ে দেশের মানুষের জন্য প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা আন্দোলন করছি। অথচ আমাদের ছেলেদের তারা গুলি করছে। নির্যাতন করছে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে (শেখ হাসিনা) বড় বড় কথা বলছেন। কেউ যুদ্ধ চায় না, কেউ নিষেধাজ্ঞা চায় না। কিন্তু তার মুখে এটা মানায় না। তিনি নিজে এই দেশে হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
শাওন, আব্দুর রহিম, নূরে আলমের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। তাদের রক্তের প্রতি সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধা জানাতে চাই, ভালোবাসা জানাতে চাই। এ জন্য এই ভয়াবহ দানব সরকারকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুরোপুরি বিকৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, যারা যুদ্ধ করলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, তাদের নাম আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে না। এমনকি শুধু জিয়াউর রহমানই নন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় অসামান্য অবদান রেখেছেন, তাদের নামও তারা নেয় না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল আতাউল গণি ওসমানীর মতো বীর যোদ্ধার নামটা পর্যন্ত তারা নেয় না। তাহলে তারা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করল? তারা (আওয়ামী লীগ) নাম না নিলেও লক্ষ শহীদের নাম, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চাইলেই ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। এখনই সময় বাংলাদেশের মানুষকে জেগে উঠতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু তাদের স্বার্থে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে। বাংলাদেশের ৫১ বছরের ইতিহাস বিকৃত করছে। নতুন করে ইতিহাস রচনা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউসুফ হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।
বিএসডি/কাফ