গবি প্রতিনিধি:
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) ‘ফার্মাসী ইউনাইটেড ইন একশন ফর এ হেলদিয়ার ওয়ার্ল্ড’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হলো ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২২’।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গবির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো.আাবুল হোসেন কেক কাঁটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। এসময় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক মো: সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মোহাম্মাদ মুকাম্মেল সহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাস থেকে র্্যালি বের হয়ে একাডেমিক ভবন, বাদামতলা এবং প্রশাসনিক ভবন হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিসেস রোজিনা পারুল বলেন, এই বিভাগ নিয়ে এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেকে পরিশ্রমের মাধ্যেমে সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।
এছাড়াও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পেয়ে মালয়েশিয়ায় পড়ার সুযোগ পেয়েছে যেটা ইতিমধ্যেই দারুন একটা উদাহরণ। ফার্মেসী বিভাগের ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইভানা আক্তার বলেন, বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস প্রতিবার আমাদের দায়িত্ব আমাদের মনে করিয়ে দেয়। ফার্মাসিস্টদের প্রধান কাজ হচ্ছে দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় করা। জনসচেতনতাই আমাদের প্রধান কাজ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চয়তা করে ডাক্তারের কাছে থেকে কিন্তু ডাক্তারদের পিছনে কাজ করে যায় ফার্মাসিস্টরা। কারণ ডাক্তাররা রোগ নির্ণয় করে এবং মেডিকেশন দিবে কিন্তু এই মেডিকেশন দেয় ফার্মাসিস্টরা। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষরা আমাদের এই অবদানগুলি জানেনা।সুতরাং এগুলো জানানো আমাদের ফার্মাসিস্টদের কাজ তাই যার যার নিজ জায়গা থেকে নিজেদের চেষ্টা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই হসপিটাল ফার্মেসীর কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে এবং সরকারি হসপিটাল গুলোতেও হসপিটাল ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে ফার্মাসিস্টরা। এছাড়াও ২০০৫ সালের তুলনায় বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি শিক্ষার্থীরা পড়ছেন ফার্মেসী নিয়ে। দিনব্যাপী নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবমুখর দিনটি সমাপ্তি হয়।
বিএসডি/এফএ