আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিহারের চাম্পারন জেলার বাল্মীকি ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে সাড়ে তিন বছর বয়সী ওই বাঘটির উপদ্রব দেখা যায়। গত তিনদিনে ৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এটি। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
বাঘের আতঙ্কে ভুগতে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা দল বেঁধে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও সামনে আসে। কেন বাঘটিকে ধরা বা মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে না সেই দাবি তোলা হয়। এরপর উপায়ান্তর না দেখে নরখাদক ওই বাঘটিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয় বনবিভাগ।
অবশেষে শনিবার বিকেলের দিকে ডোরাকাটা ওই বাঘকে ঘায়েল করতে সক্ষম হলেন বনকর্মীরা। গ্রামবাসীরা আখের খেতে বাঘের উপস্থিতি টের পেয়ে বনবিভাগে খবর পাঠায়।
বাঘের আতঙ্কে থাকা গ্রামবাসীদের ভরসা দিতে গ্রাম ও জঙ্গলের আশেপাশে পুলিশ ও বনকর্মীরা ঘাঁটি গাড়েন। বাঘের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালানো হয়। ওই বাঘটিকে হত্যার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে বিহার পুলিশ।
এদিকে ৯শ বর্গ কিলোমিটারের বাল্মীকি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের এই বাঘটির মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯য়ে। বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি বন্য বাঘের আবাসস্থল ভারত। ২০১৯ সালে ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশটিতে বাঘের আক্রমণে ৪০ থেকে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।