নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা আজম বলেন, টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে মানুষ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করেছিল। আবারও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ৮টি আসন ফিরে পেতে চাই। আমরা যদি ৮টি আসনে বিজয়ী হতে পারি তবে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল বিধায় আজকে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। বেগম খালেদা জিয়া দেশে দুর্ভিক্ষ ছাড়া কিছু উপহার দিতে পারেনি। তখন দেশের মানুষ না খেয়ে মরেছে। মানুষের হাতে টাকা ছিল না, পেটে ভাত ছিল না, অনাহারে অর্ধাহারে দিন কেটেছে। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ দিনের পর দিন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে।
মির্জা আজম আরও বলেন, দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক আজ ছয় লেনে উন্নতি হয়েছে। তেমনি সারা দেশে যেখানে যে দিকে যাবেন সেখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। প্রত্যেক গ্রামীণ সড়কে রাস্তা পাকা করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমরা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে যাচ্ছি। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসছি। এই শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে আগামীতে প্রত্যেক ইউনিয়নে, উপজেলায় ও জেলায় সমাবেশ করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন, সাফল্য আর বিএনপির ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এগুলো শুনে একটু সচেতন হলেই ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য শাহজান খান, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিক্ষা ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এবং মোহাম্মদ সাঈদ খোকন প্রমুখ। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহের ইসলাম জোয়াহের।
বিএসডি/এফএ