স্পোর্টস ডেস্ক-
হারারে টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের দাপটে দিশেহারা টাইগারদের টপ অর্ডার। মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল মুমিনুল হকের দল। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে সফল হলেন একজন বোলার। তাসকিন যেন এদিন অপ্রতিরোধ্য। হয়ে উঠলেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে রাখলেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করেন লিটন, মুমিনুল। এরপর সে পথে হাঁটেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবিলা করলেন চোখে চোখ রেখে। সাদা পোশাকের খেলা, তাই হয়তো ধৈর্যের পরীক্ষা দিলেন এ ফাস্ট বোলার। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে এলিট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাসকিন আহমেদের। এরপর ৭টি টেস্ট খেলেছেন। মূলত তাসকিনের দলে ভূমিকা ফাস্ট বোলার হিসেবে। তাই দলের প্রয়োজনে ১১, ১০ কিংবা ৯ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং নেমেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে ব্যাটিং প্রত্যাশার কিছুই থাকে না। এই টেস্ট খেলার আগ পর্যন্ত ৭ টেস্ট খেলে তাসকিনের সংগ্রহ ছিলো ৮১ রান। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণিতে তার সর্বোচ্চ ৩৪, লিস্ট ‘এ’তে অপরাজিত ৩৮ আর টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮ রান।
তবে, হারারের এ দিনটা তাসকিন ক্যারিয়ারের ব্যাটিংয়ে সব কিছুই গেছেন ছাপিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ফিফটি হাঁকিয়েছেন ৬৯ বলে। শুরু থেকে ব্যাটিংয়ে ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। যে বোলাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিক-সাকিবরা হয়েছেন ব্যর্থ। তাদের বিরুদ্ধে তাসকিন যেন এদিন সলিড এক ব্যাটার। স্ট্রেইট ড্রাইভ, কাভার ড্রাইভ আর পয়েন্ট ড্রাইভের দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখা গেছে তাসকিনের ব্যাটে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪২০ রান। তাসকিন অপরাজিত আছেন ৬১ রানে……