অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্টেডশন তহবিল থেকে ২ লাখ এবং চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানা প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন কারাখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে মালিক কিংবা পরিদর্শন ব্যবস্থায় কারো গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী ০৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া আগেই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক (সেইফটি)কে প্রধান করে সেইফটির বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা করবো। এই কারখানায় কোনো শিশু শ্রম ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্টেডশন তহবিল থেকে ২ লাখ এবং চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান। প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রূপগঞ্জ এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এ সময় শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচাক গৌতম কুমারসহ শ্রম মন্ত্রণালয় এবং দুটি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গত রাত থেকেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ দুর্ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে কাজ করছে। নিহত শ্রমিকদের লাশ নেয়া এবং আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য শ্রম অধিদপ্তরের এ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত আছে।
বিএসডি মুছা