নিজস্ব প্রতিবেদক,
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে।
শনিবার (১০ জুলাই) রাজধানীতে লকডাউন কার্যকরে অন্যান্য দিনের মতই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে।
শনিবার সকাল থেকেই সড়কে রিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, পণ্য পরিবহনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এর ভিতরেই লকডাউন কার্যকরে মাঠে তৎপর রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টগুলোতে কড়া নজরদারিতে রয়েছেন সেনা সদস্যরা। বিশেষ করে কাঁচা বাজার ও জনসমাগম হওয়ার স্থানগুলোতে পুলিশি টহল চলছে। একইসঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য খিলগাঁও থানার পক্ষ থেকে জনসচেতনতা মূলক সতর্কবার্তা ও সচেতনতা বার্তা মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।
এদিকে লকডাউন চলাকালে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি সেবায় ব্যবহৃত ছাড়াও ব্যক্তিগত যানবাহন মাঝেমধ্যে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে চেকপোষ্টগুলোতে এদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজধানীর সড়কগুলো ছিল রিকশার দখলে। এছাড়া বিদেশিদের পরিবহন, অফিসার স্টাফ বাস, পণ্যবাহী ট্রাক বা মিনি পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্স, বিদ্যুত ও ইন্টারনেটের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে চেকপোষ্টে সন্দেহজনক যানবাহনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
খিলগাঁও, মৌচাক, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রতিটি চেকপোস্টে ১০ থেকে ১৫ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন চেকপোস্ট ঘুরে ঘুরে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খিলগাঁও ফাঁড়ির পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে খিলগাঁও চেকপোষ্টে দায়িত্ব পালন করছি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা যথাযথভাবে কাজ করছি। সরকারের নির্দেশনা না মানার কারণে বেশকিছু জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি গাড়িকে রেকারে তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা পুলিশ চেকপোস্ট দায়িত্বে থাকা রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর ভাবে লকডাউন পরিপালন করা হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা/ সাজ্জাদ/কাইয়ুম