আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত বছর করোনা মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে পারলেও চলতি বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নাটকীয়ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। একদিকে টিকার স্বল্পতা ও উচ্চ সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের পর ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলো যখন অধিকাংশ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে তখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সরকার বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত মে মাস থেকে বাড়তে থাকা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঠেকাতে লকডাউন সারকিট ব্রেকার হিসেবে কাজ করবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে জনবহুল ইন্দোনেশিয়ায় করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার দেশটিতে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরপর দুদিন দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এক মাসের আগের তুলনায় এই সংখ্যা ছয় গুণ বেশি।
সংক্রমণ কমাতে শুক্রবার কর্তৃপক্ষ ১৫টি নতুন এলাকায় বিধিনিষেধ জারি করেছে। দেশটির জাভা দ্বীপে হাসপাতালগুলোতে বেডের চেয়ে এখন রোগী বেশি, অক্সিজেন সরবরাহ কম এবং রাজধানী জাকার্তার পাঁচটি কবরস্থানের মধ্যে চারটি পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় শুক্রবার ৯ হাজার ১৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই। সংক্রমণ ঠেকাতে থাই কর্তৃপক্ষ রাজধানী ব্যাংককে নৈশ কারফিউ জারি, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, মার্কেট বন্ধ এবং জমায়েত সীমিতকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্সের মতো জনবহুল দেশ দুটিতে করোনা টেস্ট কম হওয়ায় সংক্রমণের পূর্ণ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। আর গত ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের করোনা শনাক্ত ব্যবস্থা ধসে পড়েছে।
ঢাকা /কাইয়ুম