২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তি প্রদানের কোটা বণ্টন করা হয়েছে৷ সাধারণ নয়টি শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ কোটা বণ্টন করা হয়। এ বছর নয়টি বোর্ড থেকে সাধারণ বৃত্তি পাচ্ছে ২২ হাজার ৫০০ জন এবং মেধাবৃত্তি পাচ্ছে তিন হাজার শিক্ষার্থী৷ সব মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী এ বৃত্তির পাচ্ছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে সই করেছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
অফিস আদেশে মেধাবৃত্তির হার মাসিক ৬০০ টাকা এবং এককালীন অনুদান বাৎসরিক ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ বৃত্তির হার মাসিক ৩৫০ টাকা ও এককালীন অনুদান বাৎসরিক ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বৃত্তির ব্যয় চলতি (২০২৩-২০২৪) অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি/মেধাবৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে জানানো হয়েছে।
মাউশির অফিস আদেশে বলা হয়েছে, নিয়মিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাবৃত্তি বণ্টন করা হবে। অন্যদিকে সাধারণ বৃত্তির সংখ্যা থেকে সংশ্লিষ্ট বোর্ড তার আওতাধীন প্রতি উপজেলায় দুইজন ছাত্র এবং দুইজন ছাত্রী, মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি থানাতে একজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রীকে এলাকার কোটা অনুসারে সাধারণ বৃত্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া বৃত্তির অর্থ জি২পি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে। সে কারণে অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে হিসাব খুলে উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তির সাতদিনের মধ্যে ব্যাংকের হিসাব নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিতে হবে।