রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে প্রায় পুরো মার্কেট। একইসঙ্গে পুড়েছে শতাধিক ব্যবসায়ীর কপালও। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে জোড়াতালি দিয়ে কেনাবেচা শুরু করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ পুড়ে যাওয়ার পর থেকে যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল বিক্রি করছেন। আবার কেউ মহাজনের কাছ থেকে মালামাল বাকিতে এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মার্কেট চালু না হলেও গোটা কয়েক ক্রেতাকেও মালামাল কিনতে দেখা গেছে।
৫০০ গ্রাম গুড়া দুধের দাম ৪২৫ টাকা হলেও সেটি একজন দোকান মালিক বিক্রি করছেন ৩৮০ টাকায়। ৪০০ গ্রাম চা-পাতার দাম ২২০ টাকা হলেও সেটি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা। ১২০ টাকার চা-পাতা বিক্রি করছেন ৮০ টাকায়। অন্যদিকে পুড়ে যাওয়া জুতার দোকান থেকে কিছু বেচে যাওয়া জুতা অল্প দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুদি দোকান মাদারীপুর ভাই ভাই জেনারেলের মালিক নাঈম শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুড়ে যাওয়ার পর যেসব পণ্য নিচে পড়ে কিছুটা ভালো ছিল, সেগুলো নামমাত্র মূলে বিক্রি করছি। এর বাইরে ফেলে দেওয়া ছাড়া তো এগুলো দিয়ে আর কিছুই করতে পারব না। যা পারি বিক্রি করছি।
পোড়ার পর অবশিষ্ট কয়েক জোড়া জুতা নিয়ে থাই কালেকশন দোকানের সামনে বসেছেন ওই দোকানের কর্মচারী আব্দুল জলিল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, পানি দিয়ে আগুন নেভানোর পর এই কয়েক জোড়া জুতা অবশিষ্ট ছিল। এগুলো নিয়েই বসেছি। জুতাগুলোর তেমন ক্ষতি না হওয়াতে যা দাম পাচ্ছি বিক্রি করছি। এসময় একজন ক্রেতাকে জুতে হাতে নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে নতুন করে চিড়া, মুড়ি, নারকেল ও গুড় নিয়ে বসতে দেখা গেছে খ-৯০/৯৪ দোকানের মালিক সোহরাব হোসেনকে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজই দোকান চালু করেছি। মহাজনের কাছ থেকে হাজার পাঁচেক টাকার মাল বাকিতে এনেছি। অথচ কয়েকদিন আগেই আমার কাছে লাখ লাখ টাকার মাল ছিল। মানুষজনও বাকি নিয়ে যেত।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে হাজার খানেক টাকার মাল বিক্রি করেছি। এখন তো মানুষ জানে না যে দোকান চালু হয়েছে। হয়ত এক/দুই সপ্তাহের মধ্য মানুষজন জেনে যাবে এবং বিক্রি শুরু হবে।
বিএস/এলএম