৫০ বছর সময়ের মধ্যে বিশ্বে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে – ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) নামে জীববৈচিত্র রক্ষার সঙ্গে জড়িত একটি সংগঠনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি।
এদিকে, জীববৈচিত্র সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা কয়েক হাজার প্রজাতির বন্যপ্রানীর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন স্তন্যপায়ী, খেচর, উভচর, সরীসৃপ এবং মৎস্যকুলের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার প্রজাতি ১৯৭০ সালের পর ৫০ বছর সময়ের মধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে।
এছাড়াও, ২০০০ সালের পর থেকে ১.৯ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বন্যপ্রাণীর আবাসভূমি বিলুপ্ত হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বন্যপ্রাণীর এক মিলিয়ন প্রজাতি। ১.৩ বিলিয়ন টন খাদ্য নষ্ট করা হয়েছে। এ বাবদে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডব্লিউডব্লিউএফ এই বিলুপ্তির হারকে জীববৈচিত্রের জন্য বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি এই হার কমে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে।
ডব্লিউডব্লিউএফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মানুষ বিভিন্নভাবে জীববৈচিত্রের যে ক্ষতি করেছে তা এর আগে অন্য কেউ করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ডব্লিউডব্লিউএফ’র প্রধান নির্বাহী তানয়া স্টিলি বিবিসিকে জানিয়েছেন, মানুষই বন উজাড় করছে, সমুদ্র থেকে মাত্রাতিরিক্ত মাছ আরোহন করছে, বন্যপ্রাণীর বিচরণ ক্ষেত্র নষ্ট করছে – তাই বন্যপ্রানী এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্তির পথে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যেভাবে তার বাসভূমি পৃথিবীর বারোটা বাজিয়েছে, এখন প্রকৃতি মানুষকে খবর পাঠাচ্ছে যে তাদের সুখে শান্তিতে বসবাসের সময় শেষ।