পৃথিবীর কক্ষপথে সফলভাবে তৃতীয় সামরিক উপগ্রহ নুর-৩ স্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দেশটির যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী ইসা জারেপুরের উদ্ধৃতির বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।।
ইশা জারেপুর টুইটারে এক পোস্টে বলেছেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিস’র অ্যারেস্পেসের বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় কিছুক্ষণ আগে (বুধবার সকালে) নুর-৩ স্যাটেলাইট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। আমি ইরানের জনগণকে বিশেষ করে দেশের মহাকাশ গবেষণা শিল্পে জড়িত সবাইকে এবং আইআরজিসি’র বিশেষজ্ঞদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন কাসেদ রকেটের সাহায্যে এই উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় এবং ভূপৃষ্ঠের ৪৫০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর আগে ২০২২ সালে এই উপগ্রহের আগের সংস্করণ নুর-২ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপনের জন্য যে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে সেই প্রযুক্তি দিয়ে চাইলে দূরপাল্লার অস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারবে তেহরান। এগুলোতে পারমাণবিক ওয়ারহেড যুক্ত করাও সম্ভব হতে পারে।
কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপনের আড়ালে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মার্কিন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটি বলেছে, তারা কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করেনি।
সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়াকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহে জড়িত অভিযোগে রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এর আগে ইরানের বেসামরিক মহাকাশ সংস্থা এবং দুটি গবেষণা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছিল, এসব সংস্থা তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়নে জড়িত ছিল।
বিএসডি/এমএম