সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিচলিত হয়ে যান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, যিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেন, তার ওপর আক্রমণ করেন। তার ওপর নানা ধরনের কটু মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা ও বিশেষ মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখানে ডিসি-এসপিরা নৌকার পক্ষে ভোট চায়। তারা কাউকে পছন্দ করতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না। কারণ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন ডিসি, তাহলে কীভাবে একজন ডিসি নৌকার পক্ষ ভোট চায়। এতে বোঝা যায় শেখ হাসিনার আগামী নির্বাচন কত একতরফা ও গণবিরোধী হবে তার নমুনা এখনি ফুটে উঠেছে।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন জানিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের দাবি, সরকার তাকে মুক্তি দেবে। তিনি যেখানে উন্নত চিকিৎসা চান, নাগরিক অধিকার হিসেবে সেই দাবি পূরণ করবে।
রিজভী বলেন, মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তরবারি দিয়েছে দেশের প্রধান বিচারপতিকে। এই অস্ত্রের আদৌ লাইসেন্স আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। দেশের প্রচলিত অস্ত্র আইন অনুযায়ী এর সর্বনিন্ম সাজা ৭ বছর। তারা প্রচলিত আইন-কানুনের কিছুই তোয়াক্কা করেন না। তারা মনে করেন শেখ হাসিনার কথাই আইন।
তিনি আরও বলেন, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে একটি তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। যেটি এরশাদের বাসায় ছিল। যার কারণে তার শাস্তি হয়েছিল। তখন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।
রিজভীর দাবি, সবাই এখন শেখ হাসিনার তল্পিবাহক। পুলিশ-প্রশাসন ও আইন-আদালত সবাই এখন শেখ হাসিনার অনুসারী। বিচারপতি থাকেন নীরবে-নিবৃত্তে। কেউ যাতে তাকে প্রভাবিত করতে না পারে। কিন্তু প্রধান বিচারপতিকে অস্ত্র দিচ্ছে, যেটার কোনো লাইসেন্স নেই।
বিএসডি / এলএম