হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল শিবলু মিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি-ধামকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আসামি লোকজন নিয়ে মামলার বাদী ওই ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন এবং হামলার প্রস্তুতি নেন। ভুক্তভোগী তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ কল করলে থানার এসআই আকবরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শিবলু ও তার লোকজন পালিয়ে যান। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এর আগে গত ১১ আগস্ট চুনারওঘাট থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা আসামি শিবলুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার চার্জশিট দেন। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর আসামি জামিনে বেরিয়ে আসেন এবং বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন।
চুনারুঘাট উপজেলার একটি গ্রামের মৃত রমিজ উল্লার পুত্র সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল শিবলু মিয়া (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক বছর ধরে এভাবেই চলছিল।
এ সময়ের মধ্যে আসামি ওই কলেজছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন এবং শারীরিক সম্পর্ক করতেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবে বলে শিবলু চুনারুঘাটের একটি হাসপাতালে নিয়ে ভুক্তভোগীর গর্ভপাত ঘটান। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের একটি হোটেলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে সটকে পড়েন আসামি।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, শিবলুর বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।
এরপর একাধিকবার হবিগঞ্জ কোর্টে জামিন নামঞ্জুর হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে বেসামাল হয়ে উঠেছেন শিবলু।চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদ আহমেদ জানান, ৯৯৯-এ ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়। কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়ে সবাই পালিয়ে যান।
বিএসডি/এসএস