ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের নজিরবিহীন যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে বুধবার পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে এই যুদ্ধ। বিগত চার দিনের সংঘাতে বহু সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে উভয় দেশেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনে প্রাণ গেছে ৯০০ জনের।
এদিকে, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন ইসরায়েলিরা। হঠাৎ করে কীভাবে কী হয়ে গেল বুঝে উঠতেই কষ্ট হচ্ছে তাদের।
হামাসের হামলার ব্যাপকতা যে কতটা বিস্তৃত ছিল, এখন সেটিই ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে ইসরায়েলিদের ক্ষোভ। অনেক ইসরায়েলি মনে করছেন, তারা নিজ সরকারের দ্বারাই ধোঁকার শিকার হয়েছেন। কারণ সরকার তাদের একাধিকবার আশ্বস্ত করেছে— গাজা থেকে হামলার কোনো হুমকি নেই।
এরমধ্যে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে দাবি করেছে, হামাস গত শনিবার ভোরে ভয়াবহ এ হামলা চালানোর আগে— এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে পেরেছিল মিশর। আর সেসব তথ্য তারা ইসরায়েলকে জানিয়েছিল এবং সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছিল। মিশর বলেছিল, “গাজায় বড় কোনো কিছু হতে পারে।”
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার সেগুলো আমলে নেয়নি। যদিও নেতানিয়াহু মিশরের তথ্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে মিশরের দেওয়া ওই সতর্কতার আরো কিছু গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। নতুন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আরো ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরায়েলিরা। তারা এখন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক হুদা আব্দেল হামিদ পূর্ব জেরুজালেম থেকে জানিয়েছেন, এই ইস্যুটা কত দূর যাবে সেটি নিশ্চিত নয়। তবে যুদ্ধের মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঐক্য সরকার গঠনের জন্য নেতানিয়াহুর উপর বিষয়টি চাপ ফেলেছে। কারণ এখন তাকে দেখাতে হবে, এই যুদ্ধের মধ্যে তিনি একটি ঐক্য সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, একটি ঐক্যবদ্ধ দেশকে গাজার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিএসডি/এসএস