ইসরায়েলের জাতীয় টেলিভিশনে বুধবার (২৫ অক্টোবর) একটি ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় আক্রমণ চালানোর জন্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তৈরি। কিন্তু কবে তারা সেই আক্রমণ চালাবে, সে কথা প্রকাশ্যে জানানো হবে না। রণনীতি মেনেই তা গোপন রাখা হবে। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে বুধবারই জাতিসংঘে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। চীন এবং রাশিয়া বাকি সকলের সিদ্ধান্তে ভেটো প্রয়োগ করেছে। আমেরিকা সেই সিদ্ধান্তপত্র তৈরি করেছিল।
অন্যদিকে রাশিয়াও একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছিল। কিন্তু অন্য কোনো দেশ তা গ্রহণ করেনি। অধিকাংশ দেশই সেই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, গাজায় যদি ত্রাণ পাঠানো না যায়, তাহলে এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তার বাইরেও ছড়াবে।
আমেরিকা যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, তাতে একদিকে গাজায় মানবিক সাহায্য দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সমর্থনে সেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিরক্ষার অধিকার সকলের আছে। আর তা নিয়েই ভেটো দিয়েছে রাশিয়া এবং চীন।
আমেরিকার খসড়া প্রস্তাবকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে, আমেরিকা জানিয়েছে, তারা একটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করেছিল।
ইইউ বলেছে, ইসরায়েল যেন সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষণা করে। সেই সময় গাজায় উপযুক্ত পরিমাণে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হবে।
এদিকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত রক্ষীরা তাদের কাজে কোনো গাফিলতি করেছিল কি না, সে বিষয়ে এখনই তিনি কোনো আলোচনা করবেন না। বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর পরেই এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর নেতানিয়াহুর সরকারকে দেশের ভিতর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের সুরক্ষার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করবেন।
এদিকে আমেরিকার হাউসের নতুন স্পিকার মাইক জনসন জানিয়েছেন, তার প্রথম কাজ হচ্ছে, ইসরায়েলকে সাহায্য সংক্রান্ত বিলটি পাশ করানো।
বিএসডি/ এফ এ