বলতে গেলে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া ব্যতীত বিশ্বকাপে এমন দুর্দান্ত শুরু ঠিক কারা কবে পেয়েছিল, সেটা হিসেবে রাখা মুশকিল। প্রথম ছয় ম্যাচের প্রতিটিতেই জয়, তাও আবার প্রতিপক্ষকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে। পয়েন্ট তালিকাতেও সবার উপরেই আছেন রোহিত শর্মারা। বিশ্বকাপের শেষ চার তাই একপ্রকার নিশ্চিত ম্যান ইন ব্লুদের জন্য।
কিন্তু কাগজ-কলমের গাণিতিক হিসেব বলছে ভিন্ন কথা। যে হিসেব অনুযায়ী, এমন দাপুটে পারফর্মের কারণে নিশ্চিত না ভারতের সেমিফাইনাল। গেল বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ জয় মানেই যেখানে ছিল সেমির নিশ্চয়তা, সেখানে এবার অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭ ম্যাচ পর্যন্ত।
ভারত এখন লিগ তালিকায় শীর্ষে। ছয় ম্যাচ খেলে পেয়েছে ১২ পয়েন্ট। ভারতের ম্যাচ বাকি শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা তাতে ১২ পয়েন্ট নিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না।
রবিন রাউন্ড লিগের প্রথম চারের বাইরে থাকা দলগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের এখনও সুযোগ রয়েছে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়ার। ফলে তিনটি দল ১২ পয়েন্টে পৌঁছে গেলে লড়াই হবে নেট রানরেটের। সেই সম্ভাবনা থাকায় ১২ পয়েন্ট পেলেই সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা পাকা হয়ে যাবে না ভারতের। যদিও ৬ষ্ঠ রাউন্ডের শেষ ম্যাচে আজ সোমবার শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে। তাই একটি দল পয়েন্ট হারাবেই।
লিগ তালিকায় প্রথম চারে যথাক্রমে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ১২ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে ১০ পয়েন্টে। বাকি দুই দলের পয়েন্ট ৮। চারটি দলই ছ’টি করে ম্যাচ খেলেছে। প্রথম চার দলের ঠিক পিছনে চার পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস। এখানেই মূলত শুরু জটিলতার।
এই চার দলের মধ্যে পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস খেলেছে ছয়টি করে ম্যাচ। শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান পাঁচটি করে ম্যাচ খেলায় ১২ পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে তাদের কাছে। পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস সব ম্যাচ জিতলে থামবে ১০ পয়েন্টে।
আর বিশ্বকাপ থেকে প্রায় বাদই পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচ শেষ মাত্র ২ পয়েন্ট তাদের। বাকিসব ম্যাচ জিতলেও যা শেষপর্যন্ত যাবে ৮ পয়েন্টে। এই পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে থাকা রীতিমত অসম্ভব। ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাই বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করতে হচ্ছে সাকিবদেরও।
বিএসডি / এলএম