গাজায় ত্রাণবাহী ৩৩টি ট্রাক ঢুকেছে। গতকাল রোববার পানি, খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে এসব ট্রাক মিসর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে ঢোকে। রাফা সীমান্তের মুখপাত্র ওয়ায়েল আবো ওমর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম একসঙ্গে এত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকল। তবে ত্রাণকর্মীরা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চাহিদার তুলনায় এই ত্রাণ খুবই কম। হাজার হাজার মানুষ খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে জাতিসংঘের গুদামগুলোয় এসেছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনমতো সেগুলো না পেয়ে তাঁরা ‘মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন’।
এর আগে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা জানিয়েছিল, গাজায় ২৪টি ট্রাক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে চলমান সংঘাতের মধ্যে গাজায় ঢোকা ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৮–তে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে গতকাল পর্যন্ত ৮ হাজার ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় এক হাজার মরদেহ পড়ে আছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরেও হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২।
অন্যদিকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩৩১ জন সেনা। এ ছাড়া নিজেদের বন্দীদের মুক্ত করে আনতে দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছেন হামাস যোদ্ধারা। জিম্মিদের বেশ কয়েকজন পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত নাগরিক।
বিএসডি/এসএস