রাজশাহীতে অস্ত্র হাতে উল্লাস করার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এই কিশোরদের খোঁজ শুরু করে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বশাক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওটি পুলিশের হাতে এলে মঙ্গলবার রাতভর তারা অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় সেই গ্যাংয়ের সাতজনকে আটক করা হয়। সবার বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর। তাদের বাড়ি শাহমখদুম থানার গাংপাড়া এলাকায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ছিল ১৯ সেকেন্ডের। তাতে দেখা যায়, অস্ত্র হাতে তালেবানি কায়দায় একদল কিশোর নাচানাচি আর উল্লাস করছে। সঙ্গে বাদ্যও বাজছে। তালে তালে কিশোররা নাচছে। তাদের হাতে রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাকুসহ নানা ধরনের অনেক অস্ত্র। ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই মাইর্যা দিস না রে বাপ’!
ঘটনাটি রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার গাংপাড়া এলাকার। স্থানীয়রা জানান, তিনদিন আগে গাংপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্যরা চাঁদাবাজির টাকায় খাওয়া-দাওয়া করে অস্ত্র হাতে নাচানাচি করে শো-ডাউন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয়ভাবে এরা আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বলে জানা গেছে। শহিদুল ইসলাম আগে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল করতেন। তবে ২০১৮ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পচা। তিনি জানান, যারা এমন করেছে, তারা এলাকার। তাদের প্রশ্রয় দেন, এমন তথ্য সঠিক না।
বিএসডি/ এফ এ