রিজভী গুহায় বসে কর্মসূচি দেয়-ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এদেশে ১৫ আগস্ট রক্ত ঝড়িয়েছে। ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এই বিএনপি নামক অপশক্তির হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেয়া যাবে না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। জাতির স্বার্থে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে আগামী নির্বাচনে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর আরামবাগে মেট্রোরেল আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খেলা হবে। কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে গেছে। আমরা জিতে গেছি। এখন সেমি ফাইনাল। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল। কোথায় বিএনপি। লাফালাফি কৈ গেছে। ২৮ অক্টোবর নাকি শেখ হাসিনা নেই। শেখ হাসিনা তো মঞ্চে বসে আছেন। হায়রে ফখরুল টিভিতে দেখি। দৌড়াচ্ছে। মনে আছে সালাউদ্দিনের দৌড়। আমির খসরু কোথায়। দুই দিন পর পাওয়া গেলো। গয়েশ্বর বাবু কৈ? খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা আছেন। থাকবেন। বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা আনছেন। রিজভী গুহায় ঢুকে গেছে। সেখানে বসে কর্মসূচি দেয়। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। ২৮ তারিখ ভুয়া। বিএনপি ভুয়া।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের উপরে উন্নিত করেছেন। ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশ এখন দিন রাতের পার্থক্য। এখন আমরা একটু সংকটে আছি। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সংকট আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা আছেন। একজন স্বচ্ছ, সফল ও জনদরদী নেতা তিনি। আজকে যাকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সম্মান করেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেখানে নিয়ে গেছেন বিশ্ব নেতারা প্রসংশা করেন। কিন্তু আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি তাকে সম্মান করতে জানে না। এটা দুঃখ। ওরা এখন জ্বালায় মরে। ওরা সব ভুয়া।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কর্নেল অব. ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মিনাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাইদ খোকন প্রমুখ।

বিএসডি/আরপি