বর্তমান সময় ডেস্কঃ
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদী থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর তিন দিন আগে ৩ সন্তান নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সামলা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ। তবে ওই উদ্ধারকৃত মরেদহটি সালমার নয় বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া দাদপুর মল্লিক বাড়ি সংলগ্ন কীর্তিনাশা নদীতে স্থানীয়রা এক নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সালমা বেগম। তিনি নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার আজবাহার মাদবরের স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সালমা বেগম। ঘটনার পর আনিকা (৩) ও জাফর (১) নামে দুই শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তবে এর একদিন পর নিখোঁজ সাহাবীরের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নদীতে ঝাঁপ দেওয়া গৃহবধূর খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় কীর্তিনাশা নদী থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহটি সালমা বেগমের বলে প্রাথমিক ধারণা করে পুলিশ। তবে সালমা বেগমের পরিবার জানিয়েছে মরদেহটি তার নয়।
শরীয়তপুর পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, সকালে আংগারিয়ার কীর্তিনাশা নদী থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ সালমা বেগমের পরিবারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা জানিয়েছে মরদেহটি তাদের নয়। মরদেহটি এখন সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
বিএসডি/আরপি