বর্তমান সময় ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাতজনের পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই চন্দনাইশ উপজেলার একই বাড়ির বাসিন্দা। বর্তমানে উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ধোপা বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
নিহতরা হলেন- রিতা রাণী দাশ, শ্রাবন্তী দাশ, বর্ষা দাশ, দ্বীপ দাশ, দিগন্ত দাশ, বিপ্লব দাশ ও চিনু দাশ। তাদের মধ্যে রিতা রাণী ওমান প্রবাসী নারায়ণ দাশের স্ত্রী। শ্রাবন্তী ও বর্ষা তাদের মেয়ে এবং দ্বীপ ও দিগন্ত তাদের জমজ ছেলে। এছাড়া বিপ্লব দাশ নারায়ণের বড় ভাইয়ের ছেলে এবং চিনু দাশ তার জেঠাতো বোন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাটহাজারীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন তারা।
চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, নিহতরা সবাই আমার এলাকার। আমি ঘটনার কথা শুনে সকাল থেকে নিহতদের বাড়িতে রয়েছি। তাদের মরদেহ এখনো এলাকায় পৌঁছেনি। পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে। এলাকার সবাই খবরাখবর নিতে আসছেন।
তিনি বলেন, নিহত গৃহবধূ রিতা রাণীর বাবার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তিনি তার ঠাকুরমার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে পরিবারের অন্যান্যরা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাটহাজারী এলাকায় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া ইজতেমা মাঠ এলাকায় নাজিরহাট-হাটহাজারী সড়কে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাসটি শহরমুখী ছিল। অটোরিকশাটি বিপরীত দিক থেকে যাচ্ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে সাতজন নিহত হন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। একই ঘটনায় দুজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুইটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এখনো বাসচালক এবং অটোরিকশাচালককে পাওয়া যায়নি।
বিএসডি/আরপি