ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর অটোচালক রিফাত হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা অটোরিকশা চুরি করতেই রিফাতকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে জড়িতরা। এই ঘটনায় মোট ৭ জানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সর্বমোট ৪ জন। অটোরিকশা বিক্রি করে প্রাপ্ত ১২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার করে তারা ভাগ পায়।
গলায় ছুড়ি চালিয়ে হত্যা ও অটোরিকশা নিয়ে পালানোতে সরাসরি জড়িত ছিলেন ২ জন। ১ নম্বর আসামি পঞ্চগড় সদরের মোহাম্মদ জিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৬) এবং ২ আসামিমৃত আশরাফ চৌধুরীর ছেলে মো. কামরুল হাসান (২৪)।
জানা যায়, আসামি রবিউল ও কামরুলকে গত ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে আর্ট গ্যালারি হতে ঘুরাঘুরি করার জন্যে ভিক্টিমের অটো চার্জার রিকশাটি ভাড়া করে ৬০০ টাকা দিয়ে। পরবর্তীতে সারাদিন ঘুরাঘুরি করার পর ৪০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে আরও একটু সময় ঘুরতে চায়। পরে রাত ৯টার দিকে মুনগাছ কুজিশহর গ্রামস্থ চার পুকুরি হতে মতবাদামগামী কাছা রাস্তার পার্শ্বে অটোতে বসে থাকা অবস্থায় অটোচালক রিফাতের গলায় আসামি কামরুল ছুরি চালিয়ে দিয়ে হত্যা করে এবং অটো চার্জার নিয়ে একাজ ওরফে এরাজ উদ্দিনের কাছে বিক্রয় করে।
সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও পিবিআই এর দায়িত্বরত পুলিশ সুপার ও সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ভিক্টিমের কাছে থাকা মোবাইলটি চালু করে আসামি কামরুজ্জামান। এতে করে আসামি সনাক্ত করতে আমাদের সহজ হয়ে যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউলের নেতৃত্বে আমাদের একটি টিম খুব অল্প সময়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে, ১৭ অক্টোবর ভোররাতে রুহিয়া ইউনিয়নের ঘুরনগাছ নামক এলায় শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কুজিশহর ঘুরনগাছ এলাকায় ধানখেত থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিফাতের বাড়ি ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মো. নূর আলম।
বিএসডি/ এফ এ