অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালে থাকা শিশুদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালের ভেতর যেসব রোগী আছেন তারা এখনো সেখানে আটকে আছেন, সদ্যই জন্ম নেওয়া দুটি শিশু মারা গেছে এবং হাসপাতালের আশপাশে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে।
ইসরায়েলের অবরোধ আরোপ, জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া ও অব্যাহত হামলার কারণে এখন আল-শিফা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার রাতে হাসপাতালের ভেতর ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি কোনো হামলা চালায়নি তবে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের তারা ভীতি প্রদর্শন করছিল।
ভিডিও: হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে কয়েকজন আহত
ইসরায়েলের হামলা: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বিবিসির সাংবাদিক
বিজ্ঞাপন
শিশুদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়ে শনিবার রাতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা সেখানে থাকা শিশুদের উদ্ধার করবেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, হাসপাতালটির ভেতর ৪৫ শিশু ছিল। যার মধ্যে দুটি শিশু ইতিমধ্যে মারা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এমন ঘোষণার পর এ ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে প্রশ্ন করেছিল রয়টার্স। তিনি বলেছেন, ‘অন্য নিরাপদ হাসপাতালে এসব শিশুকে কীভাবে নিয়ে যাওয়া হবে সে ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এখন আমরা এই শিশুদের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করছি; আশা করছি আর কাউকে আমরা হারাব না।’
এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার দ্বিতীয় বৃহৎ হাসপাতাল আল-কুদস ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। আল-কুদসের পর যদি আল-শিফাও বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা যাবে।
বিএসডি / এলএম