আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৭। বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ৪৩০ ও ৩৪৬। ঢাকার চেয়ে বেশি দূষিত বাতাস নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইরাকের বাগদাদ ও ভারতের কলকাতা। এ দুই শহরের স্কোর ২১২ ও ১৯৬।
একই সময়ে সবচেয়ে নির্মাল বাতাস রয়েছে রাশিয়ার মস্কোতে। এরপর রয়েছে নরওয়ের অসলো, কানাডার ভ্যানক্যুভার, ফিনল্যান্ডের হেলসিনকি ও জাপানের টোকিও। এসব শহরের স্কোর ৪ থেকে ৮ এর মধ্যে।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৯ গুণের বেশি।
আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন, সেটি দূষণ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে, তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়।
৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী।
বিএসডি / এলএম