নিজস্ব প্রতিবেদক,
সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে যান রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকেই নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’ হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করে আসছেন গত মেয়াদের এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হারের পর এবার রাজ্য পর্যায়ে ভোটের নিয়মে পরিবর্তন এনে নতুন আইন পাস করতে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। আর এই উদ্যোগকে ‘আন-আমেরিকান’ বললেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ফিলাডেলফিয়ায় দেওয়া ভাষণে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করলেও নির্বাচন ইস্যুতে ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব কড়া ভাষায় দেন জো বাইডেন।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমেরিকায় আপনি যদি হেরে যান তাহলে ফলাফল মেনে নিন এবং সংবিধানকে অনুসরণ করুন। আবার জেতার চেষ্টা করুন। আপনি নির্বাচনকে ফেক বা জালিয়াতি বলতে পারেন না। আপনি নিজে অখুশি বলে আমেরিকার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারেন না।
তিনি বলেছিলেন, এটা রাষ্ট্রনায়কত্ব না। এটা স্বার্থপরতা। এটা গণতন্ত্র না। এটা মানুষের ভোটের অধিকারকে অস্বীকার করা।
টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকানরা যে বিলটি পাস করতে চাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা তার সম্পূর্ণ বিরোধী। সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাস রাজ্যের হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভ টনি রোজ বলেছেন, টেক্সাস রিপাবলিকানরা টেক্সাসকে অকার্যকর করেছে। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। তাদের এই বিল নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারীদের জন্য ও ভোটারদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তবে রিপাবলিকানদের দাবি, নতুন আইন পাস হলে তা নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করবে। এটি কোনোভাবেই জনগণের ভোটের অধিকারকে খর্ব করবে না।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকায় আজ ভোটের অধিকারকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য বিরোধী। গৃহযুদ্ধের পর এটি আমাদের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। মানুষের ভোটের অধিকার অস্বীকার করার কাজটি হচ্ছে আন-আমেরিকান (যা আমেরিকার রীতি-নীতি বা ভাবমূর্তির সঙ্গে যায় না)।
জাতীয় পর্যায়ে সিনেটে ভোটিং রাইটস বিল করতে পারবে না ডেমোক্র্যাট পার্টি। এখানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সদস্য ৫০-৫০। নিয়ম হচ্ছে কোনো আইন পাস করতে হলে ৬০ শতাংশ ভোট পাওয়া লাগবে। তাই ডেমোক্র্যাটরা ভোটিং রাইটস নিয়ে অন্যকিছু ভাবছে।
বিএসডি/এমএম