বর্তমান সময় ডেস্কঃ
বিএনপি-জামায়াতের চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে টহলের পাশাপাশি তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি ২৭, আসাদগেট, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব-২ এর (সিপিসি-১) কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান।
এসময় প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, মিনিবাস, অ্যাম্বুলেন্স, অস্বচ্ছ কালো কাচের গাড়িসহ অন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়।
মূলত নাশকতা ঠেকাতে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতেই এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান। তিনি বলেন, আমরা সকাল থেকেই আওতাধীন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে পেট্রোলিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছি। ইউনিফর্ম ছাড়াও সাদা পোশাকে বিভিন্ন টিম বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে। যখনই কোথাও নাশকতার কোনো ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তাছাড়া যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায় তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
যাত্রীবাহী বাসে আগুন ঠেকাতে সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি অধিকাংশ জায়গাতেই মোটরসাইকেলে চড়ে অপরাধীরা এসে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। সেজন্য যাদের সন্দেহভাজন মনে হয়েছে তাদের তল্লাশি করেছি। মোটরসাইকেল থামিয়ে সঙ্গে থাকা ব্যাগ চেক করে দেখেছি। এটি আমাদের চলমান একটি কার্যক্রম।
অপরাধীদের দমনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সন্ত্রাস এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করে এমন ব্যক্তিরা কেউ ছাড় পাবে না। আমাদের মহাপরিচালক মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনায় আমরা কড়া অবস্থানে রয়েছি। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ ও অপরাধীদের দমন করতে র্যাবকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বানও জানান তিনি।
অভিযানে র্যাব-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এডি সিদ্দিকুর রহমান ও অন্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিএসডি/আরপি