ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, ‘অনেক জায়গায় অরক্ষিতভাবে গাড়ি রাখা থাকে, এ সুযোগটা নেয় নাশকতাকারীরা। তবে, নাশকতা যেটি করেছে, সেটা তাদের প্রচেষ্টা বা উদ্যোগের চেয়ে কম। চোরাগোপ্তা হামলার শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ। আমাদের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টাই ডেপ্লয়মেন্ট করা থাকে। আমাদের অফিসাররাও চেষ্টা করছে নাশকতা মিনিমাইজ করার জন্য।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ককটেল বিস্ফোরণ এবং বিস্ফোরক বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ১২ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, বুধবার রাতে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকা থেকে আটজন, শাহআলী এলাকা থেকে একজন ও শাহবাগ এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মাহফুজ হোসেন মুনা (২০), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ফরহাদ (১৯), মো. মাহি (১৮), মো. আউলাদ হোসেন (১৮), মো. নাছিম (১৮), মো. আমজাদ আলী হোসেন (১৮), মো. তানভীর হোসেন (১৮), মো. নিজাম উদ্দিন জসিম, নূর মোহাম্মদ শিকদার (২৩), মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী ওরফে শাহীন (২৪) ও মো. রুবেল (২০)। তাদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন জসিম রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতার বাকিরাও অবরোধের কর্মসূচির সমর্থক। তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তারা সবাই অবরোধের সমর্থনে এসেছে, তবে আমরা প্রত্যেকের পদবি যাচাই-বাছাই করছি।
তিনি জানান, ডিএমপি সভাসমাবেশসহ ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে অনেক আন্তরিক। গত ৪ মাস ধরে ঢাকায় রাজনৈতিক-সামাজিকসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডিএমপি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরপরেও আমাদের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে।
বিএসডি/ এফ এ