বর্তমান সময় ডেস্কঃ
গাজার সবচেয়ে বড় আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলছে। হাসপাতালের পানি ও বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এর ফলে অক্সিজেনের অভাবে আইসিইউতে থাকা ২২ রোগীর সবারই মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে এই নৃশংস অভিযানের তদন্ত দাবি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
হাসপাতালে অবস্থান করা ব্যক্তিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নেতানিয়াহুর বাহিনী জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে আবারও হামলা চালিয়েছে। এতে ১৮ জন নিহত হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকের নিহত কমানোর চেষ্টায় ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও।
হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছেন, আল-শিফার অবস্থা ‘ভয়াবহ’, যেখানে এখনো ৬৫০ রোগী, ৫০০ চিকিত্সা কর্মকর্তা এবং ৫ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছে। গত বুধবার থেকে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং বৃহস্পতিবার তারা সেখানে হামাসের টানেলের একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়ার দাবি করে। একই সঙ্গে অস্ত্র বোঝাই একটি গাড়ি পাওয়ার কথাও জানায় তারা।
হাসপাতালটির পরিচালক জানান, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান পানির সংযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। অভিযান চলছে। কেউ এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যেতে পারছে না। আমরা আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। রেডক্রিসেন্টের একটি দলও হাসপাতালে আটকা পড়েছে।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ গাজায় তার প্রতিষ্ঠিত চিকিত্সাকেন্দ্র ধ্বংসের অভিযোগ করেছেন। গতকাল মাহাথির তার এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানান, তার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত একটি চিকিত্সাকেন্দ্র ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ২০১৯ সালে পেরদানা গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গাজার অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের জন্য হাসপাতালটি স্থাপন করেন।
শুক্রবার তিনি জানান, এই মাসের শুরুতে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ডা. সিতি হাসমাহ এবং এনায়া ফিজিওথেরাপি সেন্টারটি ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণে গাজার খান ইউনিসে চিকিত্সাকেন্দ্রটি হামলার কোনো কারণ ছিল না।
বিএসডি/আরপি