বর্তমান সময় ডেস্কঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করেছেন ৩০ জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। প্রার্থী হতে এরই মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের সই সংগ্রহ করেছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরমধ্যে পদত্যাগের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা। পদত্যাগীদের বেশির ভাগ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
যারা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়া, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, সুনামগঞ্জের শাল্লা, সাতক্ষীরা সদর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী তারাও পদত্যাগ করেছেন।
রাজবাড়ী-১ আসনে ষষ্ঠবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার। সাতক্ষীরা সদরে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। তিনি নির্বাচন করতে পদত্যাগ করেছেন।
এছাড়া পদত্যাগ করেছেন যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আজিজুর ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস এম আল মামুন, ঢাকার ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের জাহিদুল ইসলাম ও নেত্রকোনার দুর্গাপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে বিকল্প প্রার্থী রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে আশাবাদী হয়ে উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ করছেন।
বিএসডি/আরপি