দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৭৮ সদস্যের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে যুবলীগ। এতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কো-চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সদস্য সচিব করা হয়েছে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশাকে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন যুবলীগের অনেক নেতা। কিন্তু তারাই আবার যুবলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও আছেন। যে কমিটি নৌকাকে বিজয়ী করার কাজ করবে সেখানেই স্বতন্ত্রদের নাম দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।
কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তবে যারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি তাদের মধ্যে কয়েকজন ভোটে অংশ নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে সহ-সম্পাদক পর্যন্ত সে তালিকায় আছেন।
সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। ওই আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহ।
শরীয়তপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যুবলীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী নির্বাচন করবেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের বিপক্ষে।
একইভাবে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নিয়েছেন সংগঠনের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন। তিনি লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার আনোয়ার হোসেন খানের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। ওই আসনে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন নীলফামারী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার বিপক্ষে। এহতাসামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন। সেখানে নৌকা পেয়েছেন আবুল হাসেম খান।
জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর ১৭৮ সদস্যের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির উদ্দেশ্য হিসেবে লেখা হয়েছে, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যানের নির্দেশে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়টি স্বীকার করে দলের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করেছি, সেখানকার কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন।
বিএসডি / এলএম